প্রাকৃতিক সম্পদ, বৈচিত্রের অপার সম্ভার রূপের প্রাচুর্য্ নিয়ে বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মনোরম অঞ্চল সাগরকন্যা ককসবাজার উনিশত চুরাশি সনের পহেলা মার্চ্ জেলা হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে। এ জেলার উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা, পুর্বে বান্দরবান, দক্ষিণ পুর্বে মায়ানমার এবং দক্ষিণ পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত। বহুমুখী ফসলের আবাদ ভুমি, বনাঞ্চল, সামুদ্রিক মৎস্য এবং লবণ উৎপাদনের এলাকা ছাড়াও বিশ্বের দীর্র্ঘতম সমুদ্র সৈকত এর বৈশিষ্ট্য ভাস্কর অত্র জেলা দেশ-বিদেশের অগনিত মানুষের পদচারনায় সর্বদা মুখরিত থাকে।
ককসবাজার জেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা। বেশ কয়েক বছর যাবৎ লবণ চাষের এলাকা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ ইতাদি স্থাপনের কারণে কৃষি জমি কিছুটা কমলেও ফসলের বহুমুখীকরণ, আধুনিক কলাকৌশল এবং নিবিড় চাষাবাদের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে। এ জেলায় গম ও পাট ব্যতিত প্রায় সকল ফসলেরই আবাদ হয়ে থাকে।
ককসবাজারে উন্নতির জন্য সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের সাখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি খাতের বিভিন্ন শাখায় অবদান রেখে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে ককসবাজার জেলা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করেছে। দানাদার শস্য ছাড়াও জেলায় শাকসবজি ও ফলমুল উৎপাদনেও প্রায় স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করেছে। তদুপরি জেলায় উদ্যান ফসল যেমন- কলা, আনারস, কাকরোল, তরমুজ, আদা, হুলুদ, মসলা ও ফুল চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও ইতিহাসখ্যাত মহেশখালীর পান আবাদের জন্য ককসবাজার জেলা অদ্বিতীয়। এ জেলায় প্রায় 3000 হেক্টর জমিতে পান এবং 3500 হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হচ্ছে। যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নতুন কৃষি সম্প্রসারণ নীতির আওতায় সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সহযোগীতার ফলে অবিচল প্রত্যয় নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সকল শ্রেণীর কৃষকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কৃষি সাথে সম্পৃক্ত সকল বিভাগের সহিত যোগসুত্র রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস