কৃষির মাধ্যমে ক্ষুধা নিবারণের কাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের নবীন কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, আমরা যেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পাশাপাশি কৃষিতে বাণিজ্যিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণে সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে পারি এবং সগর্ভে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারি। ২ মে ২০১৭ তারিখে ঢাকার ফার্মগেটের খামারবাড়ির আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে নবনিযুক্ত ৩৫তম বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যখন দায়িত্ব পালন করেছি কখনোই আমরা খাদ্যাভাব হতে দেইনি এবং খাদ্য উৎপাদন বিশেষ করে দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদিতে কিছুটা বিপর্যয় হয়, তারপরও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এটা সারা পৃথিবীর স্বীকৃতি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে কৃষি সেক্টরকে নিয়ে কেউ ভাবেনি। বর্তমান সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাবারের চিন্তা দূর করেছে পাশাপাশি অন্যান্য সবকিছুতেই অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। হাওরের সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে মাননীয় মন্ত্রী বলেন, পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে এবার উৎপাদন কিছু কম হতে পারে তবে কেউ না খেয়ে থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই আমরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হতোদ্যম না হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে জলবায়ু সহনশীল বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন জাত আবিষ্কার করতে হবে।
কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. মোশারফ হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. গোলাম মারুফ। দুই দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণে ৩৫তম ব্যাচের ১৬১ জন নবীন কর্মকর্তা অংশ নেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS